সেবার ধরণ
|
সেবা
|
সেবা প্রদান/প্রাপ্তির ক্ষেত্রে অসুবিধা সমূহ
|
নাগরিক পর্যায়
|
সরকারি পর্যায়
|
প্রশিক্ষণ
|
পিটিআই প্রশিক্ষণ
|
- শিক্ষকদের ১ বছরের জন্য পিটিআই তে প্রশিক্ষণে পাঠালে বিদ্যালয়ে পাঠদানের ব্যাঘাত ঘটে।ফলে শিশুদের প্রকৃত শিক্ষা অর্জিত হয়না ।
|
- গুনগত শিক্ষা অর্জিত হয়না ।
- দূর্বল ভিত্তি নিয়ে প্রাথমিক শিক্ষা সম্পন্ন করার ফলে ঝরে পড়ার হার বাড়ে ।
- প্রাথমিক শিক্ষা চক্র শেষ করতে গড়ে ৭ বছরের ও বেশি সময় লাগছে ফলে দেশ আর্থিক ক্ষতির মধ্যে পড়ছে ।
|
বিষয় ভিত্তিক প্রশিক্ষণ
|
- বিষয় ভিত্তিক দক্ষ শিক্ষক এর অভাব ।
- শিক্ষক স্বল্পতার কারণে একই শিক্ষককে নির্ধারিত বিষয়ের বাইরেও অন্য ক্লাস নেয় লাগে, তখন শিক্ষকের আগ্রহ থাকে না ।
- সকল বিষয়ের প্রশিক্ষণের সময়কাল সমান হওয়ায় গণিত, ইংরেজি ইত্যাদি বিষয়ের প্রশিক্ষণ অসম্পূর্ণ থেকে যায় ।
|
- বিষয় ভিত্তিক শিক্ষক নিয়োগ না করার ফলে প্রশিক্ষণে সরকারের অর্থ খরচ হচ্ছে আবার প্রশিক্ষণের কারনে সময়ও অপচয় হচ্ছে ।
- বিষয়ের গুরুত্ব অনুযায়ী প্রশিক্ষণের সময় নির্ধারণ না করার ফলে কার্যকর ফল পাওয়া যাচ্ছেনা ।
- প্রশিক্ষণের জন্য নির্ধারিত কোন সময় না থাকার ফলে
শিক্ষকবৃন্দ যেমন সমস্যায় পড়েন তেমনি দাপ্তরিক ভাবেও জটিলতায় পড়তে হয় ।
|
এসএমসি, স্লিপ কমিটি, ইত্যাদি প্রশিক্ষণ
|
- কমিটির মাত্র ২/১ জন সদস্যকে প্রশিক্ষণ দেয়া হয় ফলে প্রশিক্ষণটি কার্যকর হয় না ।
- কমিটিতে শিক্ষিত লোকের আসার ব্যাপারে কোন গাইড লাইন বা বাধ্যবাধকতা নাই ফলে অপেক্ষাকৃদত নিরক্ষর লোকজন সদস্য হয় যারা বিদ্যালয়ের উন্নয়নে আগ্রহী হয়না ।
- এক কমিটি প্রশিক্ষণ পাওয়ার পর মেয়াদ শেষ হলে অন্য কমিটি আসে ফলে প্রশিক্ষণের আর কার্যকারীতা থাকে না ফলে
|
- প্রশিক্ষণে অংশগ্রহনকারী অনুসারে বরাদ্দ থাকে ফলেস্থানীয় কমিটির সকল সদস্যকে প্রশিক্ষণের আওতায় আনা যায়না, এতে প্রশিক্ষণ পরবর্তী ফলাফল ভাল হয়না ।
- কমিটির মেয়াদ স্বল্প থাকার ফলে প্রশিক্ষণ লব্ধজ্ঞান দীর্ঘ মেয়াদে প্রয়োগ করা যায়না ।
- কমিটি গঠনে রাজনৈতিক প্রভাব থাকার ফলে সঠিক সেবা পাওয়া যায়না ।
|
|
সাব ক্লাস্টার ট্রেনিং
|
- একমাস পরপর অর্থাৎ বছরে ৬ বার প্রশিক্ষণ হওয়ায় শিক্ষকদের মাঝে এর গুরুত্ব কমে যায় ।
- প্রশিক্ষণের লিখিত কোন ফলোআপ করার ব্যবস্থা না থাকায় প্রশিক্ষণ টি গুরুত্ব হারাচ্ছে ।
|
- যথাযময়ে বরাদ্দ না পাওয়ার ফলে প্রশিক্ষণ আয়োজন করা যায়না ।
- একই এইউই্ও বারবার প্রশিক্ষক হিসাবে থাকার ফলে প্রশিক্ষণটির গুরুত্ব কমে যাচ্ছে ।
|
উপবৃত্তি বিতরণ
|
প্রাথমিক শিক্ষার জন্য উপবৃত্তি
|
- উপবৃত্তির পরিমান ১০০/-১২৫/ টাকা যা বর্তমান আর্থসামাজিক অবস্থার প্রেক্ষিতে যথেষ্ট নয় ।তাছাড়া এ টাকা নেয়ার জন্য তাদের অনেক দুরের ব্যাংক বা বিতরণ কেন্দ্রে যেতে হয় যা বেশ কষ্টকর ।
- উপবৃত্তির জন্য সুবিধাভোগী পরিবার নির্বাচনের সময় যথাযথ নিয়ম মানা হয়না ফলে প্রকৃত সুবিধাভোগী নির্বাচিত হয়না ।
- অনেক সময় সুবিধাভোগী নির্বাচনের জন্য কমিটি অর্থ আদায় করে ।
|
- উপবৃত্তি বিতরনের জন্য উপজেলাতে আলাদা কোন জনবল না থাকায় কাজের ব্যাঘাত ঘটে ।
- উপবৃত্তি বরাদ্দ পাওয়ার পর বিতরনের জন্য যথেষ্ট সময় না থাকার কারনে ব্যাংক সুষ্ঠু ভাবে বিতরণ সম্পন্ন করতে পারে না ।
|
কমিটি গঠন
|
এসএসসি, পিটিএ, স্লিপ ইত্যাদি কমিটি
|
- শিক্ষিত লোকের কমিটিতে আসার ব্যাপারে কোন বাধ্যবাধকতা না থাকায় বিদ্যালয়ের গুনগত উন্নয়নে অনেক সময় কার্যকর ভূমিকা রাখতে আগ্রহী হয়না/পারেনা ।
- রাজনৈতিক সম্পৃক্ততা থাকার ফলে কমিটি গঠন প্রভাব মুক্ত হয়না ।
- অনেক সময় সিদ্ধান্ত গ্রহনের ক্ষেত্রে সকলের মতামত নেয়া হয়না ফলে জটিলতার সৃষ্টি হয় ।
|
- কমিটি গঠন প্রক্রিয়ার সাথে কেবল প্রধান শিক্ষক কাজ করায় প্রভাব মুক্ত হতে পারেন না ।
- বিদ্যমান নীতিমালার কারণে রাজনৈতীক প্রভাবমুক্ত কমিটি গঠন সম্ভব হয়না ফলে বিরাট অংশ বিদ্যালয় বিমূখ হয় ।
|
ডেপুটেশন প্রদান
|
সিইনএড, বিএড, এমএড প্রশিক্ষণ
|
- বর্তমানে নিজ জেলার পিটিআই ব্যতীত অন্য জেলার পিটিআইতে শিক্ষকদের ভর্তির জন্য ডেপুটেশন দেয়া হচ্ছে ফলে শিক্ষকগণ সমস্যায় পড়ে ।
- একইভাবে বিএড, এমএড প্রশিক্ষণের জন্য ও পচ্ছন্দমত প্রতিষ্ঠানে ভর্তির সুযোগ না হলে শিক্ষকদের কস্ট হয় ।
|
- এক বছরের জন্য প্রশিক্ষণে গেলে বিদ্যালয়ের পাঠদান ব্যহত হয় ।
- বিদ্যালয়ে শিক্ষক সংখ্যা কম থাকলে ডেপুটেশন দিতে অসুবিধা হয় ।
|
টাইম স্কেল/দক্ষতাসীমা
|
শিক্ষকদের টাইম স্কেল/দক্ষতাসীমা প্রদান/প্রাপ্তি
|
- টাইম স্কেল/দক্ষতাসীমার সুবিধা প্রাপ্তির জন্য বিগত ৩/৫ বছরের এসিআর দিতে হয় । অনেক সময় প্রধান শিক্ষক বা সহকারী উপজেলা শিক্ষা অফিসার বদলী হলে এসিআর সংগ্রহে সমস্যা হয় ।
- অনেক সময় মূলবেতন, টাইম স্কেকেলের ধাপের চেয়ে বেশী হওয়ার পর প্রাপ্ত হন তখন আর আগ্রহ থাকে না ।
- টাইম স্কেল প্রদান প্রক্রিয়ার জন্য অনক সময় পেতে দেরী হয় ।
|
- টাইম স্কেল প্রদান প্রক্রিয়ার বিদ্যমান ব্যবস্থার কারণে দ্রুত সুবিধা সম্ভব হয়না । যেমন উপজেলা টাইমস্কেল কমিটির সভা করে জেলায় পাঠানোর পর নিস্পত্তি হয় ।
- সহকারী শিক্ষকদের ক্ষেত্রে যখন প্রধান শিক্ষক এসিআর দেন তখন সঠিক চিত্র উঠে আসেনা ।
- বিদ্যমান নীতিমালা দীর্ঘ কিন্তু পুরোপুরি কার্যকর নয় ।
|
বিদ্যুত বিল এবং ভূমি উন্নয়ন কর
|
বিদ্যালয়ের বিদ্যুত বিল এবং ভূমি উন্নয়ন কর পরিশোধ
|
- বিদ্যুত বিল/ভূমি উন্নয়ন কর প্রধান শিক্ষকদের প্রাথমিক ভাবে নিজে পরিশোধ করতে হয়, পরে অফিস থেকে দেয়া হয় ।প্রধান শিক্ষক বদলী হলে এ বিল প্রাপ্তি/প্রদানে জটিলতা হয় ।
- বরাদ্দ কম থাকায় পুরো বছরের বিল অফিস থেকে দেয়া হয় না ফলে প্রধান শিক্ষককে নিজ থেকে শোধ করতে হয় ।
|
- চাহিদার তুলনায় বরাদ্দ কম থাকায় সকল বিদ্যালয়ে পুরো বছরের বিল শোধ করা সম্ভব হয় না ।
|
মেরামত
|
বিদ্যালয়ের সংস্কার ও মেরামত
|
- প্রায় সকল বিদ্যালয়েই প্রতি বছর মেরামত ও সংস্কারের দরকার হয় কিন্তু সকল বিদ্যালয়ের জন্য বরাদ্দ না থাকায় সম্ভব হয়না ।
- প্রয়োজনের তুলনায় বরাদ্দ কম থাকায় সঠিক ভাবে কাজ করা সম্ভব হয়না ।
- বরাদ্দ প্রাপ্তির পর যথেষ্ট সময় না থাকায় কাজের গুনগত মান আশানুরূপ হয় না ।
|
- প্রয়োজনের তুলনায় নগণ্য পরিমান বিদ্যালয়ে বরাদ্দ আসে ।
- বিদ্যালয় নির্বাচনে অনেক ক্ষেত্রে মাঠপর্যায়ের প্রস্তাব/মতামত পুরোপুরি অনসৃত হয়না । ফলে বিদ্যালয় নির্বাচন সঠিক হয়না ।
- সকল বিদ্যালয়ে গড়ে সমান পরিমান বরাদ্দ দেয়া হয় ফলে কোন বিদ্যালয়ে কাজ বাকী থাকে আবার কোন বিদ্যালয়ে অপচয় হয় ।
|
বদ্লী
|
শিক্ষকদের আন্তস্কুল, আন্ত উপজলা, আন্ত জেলা, আন্ত বিভাগ বদলী
|
- বদলীর বর্তমান নীতিমালা মোতাবেক পাঁচ জনের কম শিক্ষক বিশিষ্ঠ বিদ্যালয় হতে সহজে বদলী হওয়া যায়না ।
- জুনিয়র শিক্ষকদের বদলীর ক্ষেত্রে সমস্যা হয় কারণ জ্যেষ্ঠতার ভিত্তিতে বদলী হয় ।
|
- বিদ্যমান নীতিমালার কারণে শিক্ষকদের চাহিদা মত বদলী করা সহজ হয়না ।
- বদলীর ক্ষেত্রে রাজনৈতীক প্রভাব থাকার ফলে শিক্ষকদের সমান ভাবে সুবিধা দেয়া যায় না ।
|
|
সহকারী শিক্ষকদের পদোন্নতি
|
- পদোন্নতি পেতে দীর্ঘ বছর লেগে যা্ওয়ায় সহকারী শিক্ষকগণ প্র্র্র্র্ধান শিক্ষকের স্কেল অতিক্রম করেন, ফলে পদোন্নতি পেতে আগ্রহী থাকেন না ।
- প্রধান শিক্ষকের দায়িত্বের তুলনায় স্কেল কাঙ্খিত না হওয়ায় পদোন্নতি নিতে আগ্রহী হন না ।
- প্রধান শিক্ষকের বিদ্যমান শূণ্যপদের৩৫% কোটায় সরাসরি প্রধান শিক্ষক নিয়োগ হওয়ায় পদোন্নতির সুযোগ সংকুচিত হয় ।
|
- বর্তমানে প্রধান শিক্ষকের বিদ্যমান শূণ্যপদের ৬৫% কোটায় সহকারী শিক্ষকদের পদোন্নতি দেয়ার বিধান রয়েছে । ফলে সকলের পদোন্নতির সুযোগ পেতে সময় লাগে ।
- প্র্র্র্র্ধান শিক্ষকের স্কেল কাঙ্খিত না হওয়ায় অনেকে পদোন্নতি নিতে আগ্রহী হায়না ।
- পদোন্নতি প্রদানের প্রক্রিয়া বেশ জটিল হওয়ায় সেবাটি দিতে দেরী হয়।
|
|
উচ্চতর পরীক্ষায় অংশগ্রহন
|
- অনেক সময় কখন কিভাবে আবেদন করতে হয় না জানার কারনে সেবা প্রাপ্তিতে জটিলতা সৃষ্টি হয় ।
|
- অনুমতির জন্য প্রবেশপত্র এবং পরীক্ষার রুটিন দাখিল করতে হয় যা সময় মত পাওয়া যায়না । ফলে পরীক্ষা দেয়ার ক্ষেতে জটিলতার সৃষ্টি হয় ।
|
|
পেনশন
|
- পেনশন প্রাপ্তির ক্ষেত্রে অনেক প্রকার কাগজপত্র দাখিল করতে হয় যা শিক্ষকের জন্য কিছুটা কষ্টসাধ্য হয় ।
- শিক্ষক তার সার্ভিস বইএর কপি সংরক্ষণ না করায় আনেক সময় জানতে পারেন না কী কী ত্রুটি রয়েছে ।
|
- সার্ভিস বইতে ঘষামাজা/কাটাকাটি থাকলে বিশেষ করে জন্ম তারিখে ঘষামাজা থাকলে জটিলতা সৃষ্টি হয় এবং কেশ নিষ্পত্তি হতে দেরী হয় । সংগত কারনে পেনশনার ভোগান্তির শিকার হন ।
- প্রায় ক্ষেত্রে সার্ভিস বই যাচাই করার সময় অতিরিক্ত উত্তোলন ধরা পড়ে তখন পেনশনার আর্থিক ভাবে তাৎক্ষনিক ঝুকির মধ্যে পড়েন ।
- অনেক সময় বদলী, যোগদান, টাইমস্কেল প্রাপ্তি, শ্রান্তি বিনোদন প্রাপ্তি, দক্ষতা সীমা অতিক্রম, পদোন্নতি ইত্যাদি বিষয়গু্লোর অর্ডার এন্ট্রি দেয়া থাকেনা ফলে পেনশন মঞ্জুরীতে জটিলতা
|